ইউনিয়নের সংক্ষিপ্ত বিবরনঃ
রাজাহার ইউনিয়নের রাজা বিরাটের ঐতিহাসিক প্রত্নতত্ত্ব নিদর্শন সংরক্ষণ অভাবে ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে মহাভারতে বর্ণিত মত্স্য দেশের রাজধানী গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার রাজাহার ইউনিয়নের রাজা বিরাটের বিরাট নগরীর প্রত্নতত্ত্ব নিদর্শন। অন্যদিকে একটি চক্র রাজা বিরাটের ঐতিহাসিক স্থাবর-অস্থাবর স্থাপনাসমূহ দখল করছে। অথচ রাজা বিরাট আজও স্বনামধন্য ও বাত্সরিক তীর্থস্থান হিসাবে পরিচিত। রাজশাহী ও রংপুর বিভাগের সকল জেলাসহ সারাদেশ থেকে প্রতিবছর বৈশাখ মাসব্যাপী রাজাবিরাটের তীর্থ মেলায় হিন্দুধর্মের হাজার হাজার লোকজনের সমাগম হয়। তারপরও সংশ্লিষ্ট প্রশাসন এসব সংরক্ষণে কোন উদ্যোগ গ্রহণ করছে না। এতে করে ঐতিহাসিক মত্স্য দেশের রাজধানী ও সনাতন (হিন্দু) সমপ্রদায়ের অন্যতম তীর্থক্ষেত্র "রাজা বিরাট" একসময় শুধু কাগজ-কলমেই থেকে যাওয়ার আশংকা করছেন এলাকাবাসী।কিংবদন্তী আছে, হিন্দু পৌরাণিক উপাখ্যান মহাভারতের বর্ণনায় যে রাজা বিরাটের নাম উল্লেখ রয়েছে গোবিন্দগঞ্জের বিরাটই সেই নানা উপাখ্যানের সাক্ষী। পৌরাণিক কাহিনী মতে গাইবান্ধার রাজা বিরাট নেপাল রাজ্যের বৈরাট নগরাধিপতি মহারাজ উত্তরের একমাত্র পুত্র ছিলেন। তিনি মৃগয়ার্থে বৈরাট নগর হতে আলোচ্য বিরাটে আগমন করেন।